মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর ৯টি গুরুত্বপূর্ণ উপায়

 বিষয়:-
১. পেটের চর্বি কমানোর উপায়।
২. পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায়।
৩. ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়।
৪. ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়।


আমরা অনেকেই আমাদের অতিরিক্ত মেদ কমাতে চাই। কিন্তু নিজেদের কিছু অনিয়মের কারনে পেটের মেদের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। আমরা আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ   মেদ কমানোর উপায় বা  তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

পেটের মেদ বা চর্বি কমানোর গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট:

১. অতি দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন।
২. তিন বেলা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৩. কখনো বড় প্লেটে ভাত খাবেন না।
৪. প্রয়োজনের  থেকে বেশি খাবেন না।
৫. আনমনে খাওয়া ত্যাগ করুন।
৭. অস্বাস্থ্যকরভাবে ঘুমাবেন না।
৮. লাল চাল, লাল আটা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৯.লো-ফ্যাট বা ফ্যাট-মুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কোনো বেলার খাবার বাদ না দেওয়া ঃ

 অনেকেই সকালে নাস্তা বাদ দিয়ে একবারে দুপুরে খাবার খাবার পরিকল্পনা করেন এক বেলা খাবার বাদ দিলে পরবর্তীতে বেশি খাবার খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকের ক্ষেত্রে বেড়ে যায় এতে ওজন বাড়ার ও মেদ/ভুড়ি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে যদি আপনার ক্ষেত্রে এমনটি হয় তাহলে কোন বেলার খাবার বাদ দিবেন না।

আনমনে খাওয়া ঃ 

টিভিতে খেলা নাটক বা অন্য কিছু দেখতে দেখতে যদি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সম্ভাবনা থাকে কিভাবে সমস্যা তে টিভি বা খেলা বা নাটকের না সমস্যাটা হচ্ছে আনমনে খাবার আপনি যখন আরেকটা কাজে ব্যস্ত আপনি কতটুকু খাচ্ছেন সেটার দিকে সাধারণত মনোযোগ কম থাকে প্রয়োজনে বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে অনেক সময় টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া আমরা ক্ষিদা লেগেছে বলে খাই না বরং টিভি দেখতে দেখতে কিছু একটা খেতে হবে এমন অভ্যাস হয়ে গেছে তাই খাই । যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করুন।

মানসিক চাপঃ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে মেঘ ভরি জমে এবং এটা হয় কয়েকভাবে। আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে ঢুকি তখন আমাদের শরীরে কয়টি স্তন নামে একটা হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোনটা বাড়লে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার ক্রেডিং বা প্রবল ইচ্ছা জাগতে পারে। ওজনটা মেদ বাড়াতে কনসিলের প্রভাব এখানেই শেষ না আরো তিনটা কাজ সে করে।

১.শরীরে অন্যান্য জায়গায় যেমন পিঠ অরুনিতম্ব এই সমস্ত জায়গার চেয়ে পেটের অংশে চর্বি জমতে বিশেষ সাহায্য করে এটা কি আমরা বলি সেন্ট্রাল আর্টিস্ট।
২. আরেকটা হরমোনকে বাড়িয়ে দেয় যে হরমোনটা আমাদের বেশি করে ক্ষুধা অনুভব করে।

৩.লেক্তির নামে এক হরমোন কমিয়ে দেয় যেটা আমাদের পেট ভরা অনুভব করে সারাংশ হল     এর ফলে পেট ভরা কম মনে হয় ক্ষুধা বেশি লাগে আর বেশি খেলে যে চর্বিটা হয় সেটা পেটের অংশে জমায়।

দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসঃ

আপনি যখন খাবার খাওয়া শুরু করেছেন সে খাবার পেটে যায় এবং পেটের সাথে আপনার ব্রেইনের একটা কথাবার্তা হয়। পেট ভরেছে কিনা, এইটা ব্রেইনের জানতে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আপনি যদি দ্রুত খান, তাহলে বেশি খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ব্রেইন হয়তো তোত দ্রুত পেটের কাছ থেকে জেনে আপনাকে বলতে পারবেনা, যে আপনার পেট ভরে গেছে। সমাধান হচ্ছে ধীরে ধীরে খাবারের প্রতি মনোযোগ ‍দিয়ে খাওয়া। যেটাকে আমরা “মাইন্ডফুল ইটিং” বলি। আর যদি খুব দ্রুত খেতেই হয়, তাহলে একটা নির্দিষ্ট খাবার নিয়ে সেখানে খাওয়া শেষ করা।

বড় প্লেটে খাবার খাওয়াঃ

প্লেট টা তো মূল বিষয় না মূল বিষয় হচ্ছে, আপনি পরিমাণে কতটুকু খাচ্ছেন। প্লেটটা বড় হলে আমরা সাধারণত একটু বেশি পরিমাণে খাবার নিয়ে থাকি। ফলে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। আর এই ভাবে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তাই শুরু থেকে যদি প্লেটটার আকার একটু ছোট হয় অথবা খাবার নেওয়ার সময় খাবার পনিমাণটা খেয়াল রাখি, তাহলে অতিরিক্ত সম্ভাবনা কমবে।

প্রয়োজনের  থেকে বেশি খাবেন নাঃ 

আমরা সাধারণত প্রয়োজনের থেকে বেশি খেয়ে ফেলি। যার জন্য আমাদের চর্বির পরিমানটা কমাতে পারি না। আবার দাওয়াত খেতে গেলে অনেক সময় সৌজ্ন্নবোধ বেশি খেয়ে ফেলি। অথবা প্লেটে কেও খাবার দিয়ে ‍দিলে সেটা শেষ করে ওঠার চেষ্টা করি। আবার বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা হয়ে গেলে পেট ভরা থাকা সত্যেও কিছু ওর্ডার দেওয়া হয়। এই অভ্যাসগুলো মেদভুঁড়ি ও ওজন বাড়াতে পারে। এই চক্র থেকে বেড়িয়ে আসতে অনেক সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত খাবার শরীরের যে সকল প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা মাথায় রেখে খাওয়া বা না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন। অতিরীক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিবেন।

লাল চাল, লাল আটা খাওয়াঃ 

সাদা চাওয়াটা তৈরি করার সময় ফাইবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদান ফেলে দেয়া হয়। ফাইবার আমাদের খাবারকে আস্তে আস্তে হজম করতে সহায়তা করে। ফাইবার ফেলে দেয়ার কারণে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয় রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সাদা চাল সাদা আটা বেশি খাওয়ার সাথে মেদ ভুঁড়ি সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে লাল চাল এবং লাল আটা বেশী খাওয়া সাথে মেদভুঁড়ী কম হওয়া সম্পর্ক দেখা গেছে। তাহলে কি করা যেতে পারে? লাল চাল বা ঢেঁকিছঁটা চাল খাবেন।
লাল চাল
সাদা চাল







               সাদা চাল কিভাবে তৈরি হলোঃ

লাল চালের ওপরের পরতটা  ফেলে দিয়ে সাদা চার তৈরি করা হয়েছৈ।  সাথে সাথে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আমরা হারিয়েছি। ধীরে ধীরে লাল আটা লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। প্রথমে এর স্বাদ আপনার ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু এটা মেদভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থের জন্য অনেক উপকার করবে।
v

লো-ফ্যাট বা ফ্যাটমুক্ত খাবারঃ

লো-ফ্যাট খাবারে মেদভুঁড়ি হতে পারে এটা শুনে আপনার কাছে একটু খটকা লাগতে পারে। কারন আমরা সাধারণত মনে করি লো-ফ্যাট খাবার হচ্ছে স্বাস্থকর। এটা সত্য লো-ফ্যাট খাবার স্বাস্থকর হতে পারে, তবে সব ক্ষেত্রে না, একটু ব্যাখ্যা করলেই বুঝবেন। একটা খাবার যখন লো-ফ্যাট করা হয়, তখন সেখান থেকে ফ্যাট সরিয়ে বা কমিয়ে ফেলা। এতে খাবারটা অনেকের কাছে কম সুস্বাদু লাগে। খাবার কম সুস্বাদু হলেতো বিক্রি হবে কম, সুস্বাদু করতে এবং বিক্রি বাড়াতে তখন ওই খবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়। অতিরিক্ত অনেক ক্যালরি করে অস্বাস্থকর এবং ওজন বাড়ায়। আপনি হয়তো ভাবছেন লো-ফ্যাট খাবার খাই তবুও কেন ওজন বাড়ে! এটা কেন হতে পারে তা জেনে গেলেন, এখন লো-ফ্যাট খাবার কেনার আগে সেখানে চিনি যোগ করা হয়েছে কিনা সেটা নিবেন।

শুয়ে বসে থাকাঃ

শুয়ে বসে না থেকে সপ্তাহের পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটলেই অনেক উপকার পাবেন রোগব্যাধি সম্ভাবনা কমবে শরীরে চর্বির পরিমাণ কমবে । এতে আপনার শরীরের রোগব্যাধির সম্ভাবনা কমবে, শরীরে চর্বির পরিমাণ কমবে। সাথে ভাড়ি কিছু উত্তলোন করলে আরো ভালো ফলাফল পাবেন।পাশাপাশি অন্য কোনো ব্যায়াম করলে আরো ভালো।


সম্পর্কিত বিষয়‌‍-

১. পেটের চর্বি কমানোর উপায়।
২. পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায়।
৩. ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়।
৪.  ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়।

এই আর্টিকেলে কয়েকটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নিয়ে কথা বলেছি মাত্র ভবিষ্যতে আরও স্বাস্থ্য পরিচর্যা নিয়ে নতুন কোনো আর্টিকেল নিয়ে আসব, আপনার সুস্থতা কামনা করছি।